শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : চলমান লকডাউনে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে সরকারি বিধি-নিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে খোদ জেলা প্রশাসনের পরিচালনাধীন ‘ডিসি কলেজের’ মাইক্রোবাসটি নিয়ে তার চালক।
লকডাউনের কারণে পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে কয়েকগুণ বেশী ভাড়ায় নানা কৌশলে যাত্রী যোগাড় করে ‘ডিসি কলেজের’ মাইক্রোবাসটি যোগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আনা-নেয়া করা হচ্ছে।
‘মাইক্রোবাসটি’ সরকারি প্রশাসন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন হওয়ায় চালককে যাতায়ত পথে কোথাও আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাড়ীটিতে আসা-যাওয়াকারি কয়েকজন যাত্রী। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েকগুন বেশী ভাড়ায় ডিসি কলেজের মাইক্রোবাসটি যোগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম যাত্রী আনা-নেয়া করা হচ্ছে।
করোনা প্রকোপের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার ঘরের বাইরে মানুষের চলাচলে উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে। এতে দূরপাল্লার সহ সবধরণের যানবাহন চলাচলেও আরোপিত হয় কড়া বিধি-নিষেধ। কিন্তু গত ১৯ এপ্রিল লকডাউনে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিধি-নিষেধ শিথিল করে আন্ত:জেলায় যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। এতে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে এখনো সরকারি বিধি-নিষেধ কার্যকর রয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, লকডাউনে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় সরকারি নিদের্শনার আলোকে কক্সবাজারে আন্ত:জেলায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল। এতে দূরবর্তী এলাকায় যাতায়ত ইচ্ছুক লোকজন পড়েছে পরিবহন সংকটে।
তারপরও কতিপয় ব্যক্তি মালিকানাধীন মাইক্রোবাসের চালক নানা কৌশলে যোগাড় করে কক্সবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূরবর্তী এলাকায় যাত্রী আনা-নেয়া করছে। এ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে স্বাভাবিকের চাইতে কয়েকগুন বেশী ভাড়া।
করোনা প্রকোপের কারণে গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার ডিসি কলেজের নিয়মিত শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে নিয়মিত কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কলেজটির নিজস্ব মাইক্রোবাসটিও।
এদিকে লকডাউনের কারণে দূরপাল্লায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দূরবর্তী এলাকায় যাত্রী পরিবহন করছে কতিপয় ব্যক্তি মালিকানাধীন মাইক্রোবাসের পাশাপাশি ডিসি কলেজের নিজস্ব মাইক্রোবাসটিও। এই মাইক্রোবাসটি গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই কক্সবাজার কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম যাত্রী পরিবহন করছে। ডিসি কলেজের মাইক্রোবাসটির চালক ফোনে এবং সরাসরি নানা কৌশলে যাত্রী সংগ্রহ করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আনা-নেয়া করছে। এতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১ হাজার টাকা। এছাড়া লোহাগড়া ও সাতকানিয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতে প্রতিবেদকের পরিচিত কক্সবাজারের এক বাসিন্দাকে যাত্রী সাজিয়ে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত পাঠানো হয়। বান্দরবানের উদ্দ্যেশে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত ওই যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়েছে ৬০০ টাকা।
এ ব্যাপারে মাইক্রোবাসটির চালক ( নাম জানা সম্ভব হয়নি ) প্রতিবেদকের সঙ্গে কোন ধরণের কথা বলতে রাজী হননি।
বিষয়টির ব্যাপারে গত ২ দিন ধরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো. আমিন-আল পারভেজ এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও সাড়া না দেয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply